Logo

অপরাধ    >>   দোয়ারাবাজারে হিন্দু বাড়িঘরে হামলা তীব্র নিন্দা ঐক্য পরিষদের

দোয়ারাবাজারে হিন্দু বাড়িঘরে হামলা তীব্র নিন্দা ঐক্য পরিষদের

দোয়ারাবাজারে হিন্দু বাড়িঘরে হামলা তীব্র নিন্দা ঐক্য পরিষদের

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার মংলারগাঁও ও মনিগাঁও পূর্ব হাঁটিগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। গত ৩ ডিসেম্বর রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে শতাধিক বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। একইসঙ্গে দোয়ারাবাজার লোকনাথ মন্দিরও ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, হামলার কারণে মন্দিরসহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। দোয়ারাবাজার উপজেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি গুরু দের ব্যক্তিগত মন্দির ও বসতবাড়িও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, মংলারগাঁও গ্রামের তরুণ আকাশ দাসের (২০) একটি ফেসবুক পোস্টে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তোলা হয়। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে কয়েক ঘণ্টা ধরে উগ্রপন্থীরা হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ধর্মীয় স্থাপনাগুলোতে তাণ্ডব চালায়।

হামলার পর স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই গ্রাম ছেড়ে নিরাপত্তার কারণে সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে চলে গেছে।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ এই হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটি পরিকল্পিত সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস। তারা অনতিবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসন নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আহ্বান জানিয়েছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। তারা বলেন, "এ ধরনের হামলার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা প্রয়োজন।"

হামলায় দোয়ারাবাজার লোকনাথ মন্দিরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। মন্দিরের অবকাঠামো এবং অভ্যন্তরীণ সম্পত্তি ধ্বংস হওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ ১৫ লাখ টাকা ছাড়িয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে মংলারগাঁও গ্রামের প্রফুল্ল দাসের ছেলে আকাশ দাসকে আটক করা হয়েছে। তবে হামলায় সরাসরি জড়িত অন্য দুর্বৃত্তদের এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি।

ঐক্য পরিষদ এই হামলাকে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে সরকারের প্রতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।